“দক্ষ জনশক্তি ও ক্রিয়েটিভ মাইন্ড
তৈরী করা আমাদের অঙ্গীকার। “
আসুন আমাদের আশেপাশের মানুষগুলাকে
দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তর করতে চেষ্টা করি।
আপনি বিদেশ যাচ্ছেন কাজের জন্যে
___________ভাষা শিক্ষার জন্যে নয়
আর যদি ভাষা শিখতেই ৬ মাস চলে যায়
তাহলে কাজ করবেন কখন
আমাদের সকল কাজের মূল চাবী কাঠি হলো মানুষ ।
দেশ কিংবা বিদেশে একজন দক্ষ স্কিলস ওয়ার্কারের গুরুত্ব অপরিসীম
আর একজন দক্ষ স্কিলস ওয়ার্কার হতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে ইংরেজী ভাষা জানতে হবে।
ইংরেজীতে খুব সহজে কিভাবে আপনার মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন, দেশ কিংবা বিদেশে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেন, এই নিয়ে একদম শুরু থেকে, কিভাবে ইংরেজী শেখা যায় তার উপরে আমরা একটি কোর্সটি ডিজাইন করেছি। কোর্সটির নাম হলো ‘’Smart English”
যেখানে শিখানো হবে :
১) ইংরেজিতে নিজের পরিচয় দেওয়া।
২) ইমিগ্রেশনের প্রয়োজনীয় বিষয়।
৩) কর্মক্ষেত্রে নিজেকে সাবলিল ভাবে উপস্থাপন করা ।
৪) শপিং করা, রেস্টুরেন্টে খাবার অর্ডার করা, ডাক্তার কল করা, রাস্তাঘাট ইজিলি খুঁজে বের করা, দৈনন্দিন জীবনে চলা ফেরা করতে যে সকল কথা বলা প্রয়োজন সেগুলাকে কিভাবে ইংরেজিতে বলতে হয়।
৫) তথ্য ও প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে জীবনের অনেক কাজের সহজ সমাধান করতে পারা।
৬) কম্পিউটারে টুকটাক কাজ করা, হিসাব নিকাশ করা সহ ডিজিটাল কার্যক্রেমের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া।
৭) মোদ্দাকথা হলো, সকল বিষয়ে Basic Knowledge
নিয়ে আমরা এই কোর্সটি সাজিয়েছি।
তাই বিদেশগামী যে কেউ এই কোর্সটি
করতে পারলে চমৎকার একটি ফিডব্যক
পাবেন ইনশাআল্লাহ।
Spoken English শেখার ১০ টি সহজ উপায়
আপনি যদি ক্লাসরুম ছাড়াই স্পোকেন ইংলিশে দক্ষতা বাড়াতে চান তাহলে নিচের কৌশলগুলো অবলম্বন করুন। একজন নেটিভের মতো নিজেকে গড়ে তুলতে আপনাকে ইনশাআল্লাহ সহায়তা করবে।
১. ফাউন্ডেশনকে মজবুত করুন
যেকোন ভাষায় ভালো করার প্রধান শর্ত হলো সে ভাষার গ্রামার এবং ভোকাবুলারি উন্নত করা। সেজন্য ইংরেজির স্পিকিং এ দক্ষ হতে প্রতিদিন কয়েকটি করে নতুন শব্দ শিখুন। একটা নির্দিষ্ট টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যান। সেটি দিনে ৩ বা ৫ টা শব্দ হতে পারে, এভাবে এগিয়ে যান। এমনকি দিনে ১ টি নতুন শব্দ শিখলেও তা আপনাকে শিখতে হবে। সেই সাথে idioms and phrases ও শেখার লিস্টে রাখুন। তাহলেই আপনি দ্রুত ইংরেজিদে কথা বলায় দক্ষ হয়ে উঠতে পারবেন।
একইভাবে ইংরেজির বেসিক গ্রামারে আপনাকে ভালো হতে হবে। বিশেষ করে বাক্য গঠন (Sentence Formation), ভার্ব (Verb) বা টেন্সের (Tense) সঠিক ব্যবহার ইত্যাদিতে আপনাকে দক্ষ হতে হবে। যদিও কমিউনিকেটিভ ইংলিশ শেখার ক্ষেত্রে গ্রামার মুখ্য বিষয় নয় তবুও আপনি গ্রামারে দক্ষ হলে আপনার কনফিডেন্স লেভেলটা ভালো হবে, কাল ঠিক রেখে কথা বলতে পারবেন। সুতরাং ইংলিশ স্পোকেনে ভালো করার প্রথম শর্ত ভোকাবুলারি বৃদ্ধি করা এবং বেসিক গ্রামারে নিজেকে উন্নত করা।
২. কথা বলুন
যেহেতু আপনার প্রধান লক্ষ্য স্পোকেন ইংলিশে ভালো করা সুতরাং আপনাকে ইংরেজিতে কথা বলা শুরু করতে হবে। কথা না বলে অন্য যতো পদ্ধতিই অবলম্বন করুন না কেন আপনার স্পোকেন ইংলিশে ভালো করা কঠিন হবে। সেজন্য আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলুন। সর্বদা যে কাজগুলো করেন তা ইংরেজিতে বলা প্রাকটিস করুন। আমাদের মতো দেশে থেকে ইংরেজিতে কথা বলাও অনেকটা মুশকিল। সেক্ষেত্রে আপনি উপযুক্ত পরিবেশ না পেলে নিজের সাথে নিজে কথা বলুন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলুন। প্রতিদিন মিনিমাম ৩০ মিনিট আপনাকে ইংরেজিতে কথা বলতেই হবে যদি আপনি দ্রুত স্পোকেন ইংলিশে উন্নতি করতে চান। আর সেজন্য আপনাকে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
৩. আপনার উচ্চারণের প্রতি মনোযোগ দিন
এভাবে আপনি ধীরে ধীরে ইংরেজিতে কথা বলায় অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছেন। মোটামুটি আপনি প্রতিদিন ইংরেজিতে কথা বলা প্রাকটিস করছেন। এখন আপনাকে ১-২ সপ্তাহ পর থেকে আপনার উচ্চারণের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। এজন্য আপনাকে ডিকশোনারী ব্যবহার করে, কিংবা ভিডিও দেখে উচ্চারণ প্রাকটিস করতে হবে। হয়তো আপনি প্রতিদিন কয়েকটি করে শব্দ সঠিক উচ্চারণে বলার প্রাকটিস করছেন। প্রথম দিকে হয়তো খুব ভালো হবে না, তবে আপনি কয়েক সপ্তাহ অনুশীলন করলে নিজের উন্নতি দেখতে পাবেন। আর এভাবে নিজের উচ্চারণে পারফেক্ট হওয়ার চেষ্টা আপনার অ্যাকসেন্টগত সমস্যা দূর করতে সহযোগিতা করবে।
৪. ইংরেজিতে চিন্তা করুন
স্পোকেন ইংলিশে ভালো করার এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। অর্থাৎ আপনি মনে মনে ইংরেজিতেই চিন্তা করুন। আপনি প্রতিনিয়ত যেসব চিন্তা করেন তা ইংরেজিতে করুন। প্রথম দিকে এটি বেশ কষ্টকর হবে। তবে বিশ্বাস করুন আপনি প্রাকটিস করা শুরু করলে ধীরে ধীরে এটিতে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। আমি জানি এটি বলা যতো সহজ বাস্তবে ততোটাই কঠিন কাজ। তবে যদি আপনি চেষ্টা করতে থাকেন একজন নন-ইংলিশম্যান হওয়া সত্ত্বেও নিজের চিন্তা আপনি ইংরেজিতেই করতে পারবেন এবং ইংলিশ স্পিকিং এ ভালো করার এটি অন্যতম কার্যকরী উপায়। আপনি ইংরেজিতে চিন্তা করতে পারলে আপনার কথা বলার স্পিডও বেড়ে যাবে।
৫. উচ্চস্বরে প্রতিদিন ইংরেজি পড়ুন
আপনি কিছু পছন্দের টপিকসের ইংরেজি বই সংগ্রহ করুন। আবার একটি ইংরেজি পত্রিকা বা ম্যাগাজিন রাখতে পারেন। যেসব বিষয় আপনি পড়ছেন তা শব্দ করে পড়ুন। এটি আপনার কথা বলার জড়তা কাটিয়ে উঠতে বেশ সহায়তা করবে। আপনি কোন রোমান্টিক উপন্যাস বা গল্পের বেই কিনে নিতে পারেন। আসল কথা আপনার যে বিষয় সম্পর্কে জানতে বা পড়তে ইচ্ছা করে তা থেকে পড়ুন। তাহলে আপনার পড়ার অভ্যাসটা তৈরি হবে আবার প্রতিদিন প্রাকটিস করতেও ক্লান্ত লাগবে না।
৬. অনলাইনে কথা বলার পার্টনার খুঁজে নিন
স্মার্টফোনের এই যুগে আপনি খুব সহজে অনলাইনে কোন মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে দূরের যে কারও সাথে ফ্রিতেই কথা বলতে পারেন। সুতরাং আপনি স্যোশাল মিডিয়ায় অনেক গ্রুপ পাবেন যেখানে ইংরেজিতে কথা বলার পার্টনার খুঁজে পেতে হেল্প করবে। আপনি নিজেই পোস্ট করে হেল্প চাইতে পারেন। দেখবেন আপনার মতো কেউ না কেউ কথা বলার পার্টনার খুঁজছে। তখন আপনি দিনের নির্দিষ্ট একটি সময় আপনি তার সাথে ইংলিশে ডিসকাশন করবেন। নিত্য ঘটে যাওয়া বিষয় বা ইতিহাস কিংবা বিজ্ঞান ইত্যাদি যেকোন টপিকস সিলেক্ট করে আপনারা কথা বলতে পারেন। তাতে আপনাদের জানাশুনাও বাড়বে, অন্যের মতামতও শুনলেন, লজিকাল স্কিল বাড়বে আবার ইংলিশে স্পিকিং দক্ষতাও বৃদ্ধি পাবে।
৭. ফিল্ম দেখুন
আপনি অনেক ইংরেজি মুভি পাবেন যা আপনার পছন্দের সাথে যায়। যদি আপনি মুভি দেখতে পছন্দ নাও করেন তবু ইংরেজি শেখার স্বার্থে কিছু মুভি ডাউনলোড করে দেখতে থাকুন। এমনকি আপনি ইউটিউবে অনেক মুভি ও ড্রামা সিরিজ পাবেন যা দেখতে পারেন। আপনার লক্ষ্য স্পিকিং এ ভালো করা। সুতরাং আপনি তাদের কথা বলার ধরণ, উচ্চারণ স্টাইল ইত্যাদি লক্ষ্য করুন। মাঝে মাঝে নিজেও ওদের সাথে উচ্চারণ করুন। দেখবেন আপনার স্পোকেন ইংলিশে উন্নতি হবে বেশ। আমি অনেক মানুষকে জানি যারা খুব দারুণ ইংরেজি বলতে পারেন—তারা শুধুমাত্র ইংরেজি মুভি, টিউটোরিয়াল কিংবা ড্রামা সিরিজ দেখেই নিজেদের উচ্চারণে উন্নতি করেছে এবং কথা বলার ধরণও বদলে ফেলেছে অনেকাংশে। তাদের কথা শুনলে মনে হয় নেটিভ কারও সাথে কথা বলছেন আপনি।
৮. পাবলিক স্পিকিং ইভেন্টে যোগ দিন
আপনার স্পিকিং এ ভালো করার অন্যতম শর্ত অন্যের সাথে ইন্টারেকশন বাড়াতে হবে। সুতরাং কোন ইংলিশ রিলেটিড ইভেন্ট, ওয়ার্কশপ বা অনলাইন মিটিং ইত্যাদির সুযোগ পেলে মিস করা যাবে না। আপনি সেখানে নিজের স্পোকেন দক্ষতা ব্যবহার করতে পারবেন। তাছাড়া আপনার জড়তা কেটে যাবে আবার আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পাবে। একই সাথে আপনি আপনার শেখাটা রিয়েল টাইমে এক্সপেরিমেন্ট করতে পারবেন। সুতরাং এ ধরণের পাবলিক স্পিকিং ইভেন্টে যোগ দিন প্রতিনিয়ত।
৯. নিজের কথা রেকর্ড করুন
আপনার যদি স্পিকিং পার্টনার পেতে সমস্যা হয় বা পাবলিক ইভেন্টের সুযোগও কম থাকে সেক্ষেত্রে সমাধান হলো নিজের কথা রেকর্ড করা। আপনি যখন বাসায় ইংলিশ প্রাকটিস করবেন তখন সেটি মোবাইলে রেকর্ড করে রাখুন। কয়েক মিনিট হলে তা নিজেই শুনুন। দেখবেন কোথায় ভুল হচ্ছে বা আরও উন্নতি প্রয়োজন তা আপনি বুঝতে পারবেন। সে অনুসারে আপনি পরবর্তীতে নিজের উচ্চারণ এবং বলার ধরণে পরিবর্তন নিয়ে আসুন। দ্রুত আপনার স্পিকিং উন্নত হবে। আপনি স্পিকিং পার্টনার থাকলেও এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন তাহলে দ্রুত ইংরেজিতে কথা বলতে সহজ হবে।
১০. একজন মেন্টরের সহায়তা নিন
আপনি উপরোক্ত উপায় অনুসারে এগিয়ে গেলে আপনার ইংরেজিতে কথা বলার স্কিল দ্রুত উন্নত হবে। তবুও যদি আপনার সুযোগ থাকে তাহলে একজন মেন্টরের সহায়তা নিন যিনি আপনাকে আরও অনেক সহজ পন্থা দেখিয়ে দিবে এবং আপনাকে আপনার পরিবেশ এবং বর্তমান দক্ষতা অনুসারে কি করা উচিত তাও শিখিয়ে দিবে। আর এখন অনলাইনেও আপনি ইংরেজি স্পিকিং শেখার বেশ ভালো মানের কোর্স পাবেন যা আপনাকে দ্রুত ইংরেজিতে দক্ষ হতে বা কথা বলতে সহায়তা করবে।
বিশ্বনাথ টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের স্পোকেন ইংলিশ কোর্স তেমনি প্রমাণিত এবং বহু ছাত্র-ছাত্রীদের সফলতার চাবিকাঠি হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আপনি যদি এ টু জেড ইংলিশ স্পিকিং সম্পর্কে সাপোর্ট চান তাহলে ভর্তি হয়ে যেতে পারেন। আমাদের কোর্সে।
উপসংহার
সর্বোপরি আপনি উপরের ১০ টি টিপস মেনে চললে আপনার স্পিকিং দক্ষতা বাড়ানো খুব সহজ হবে। তবে একজন মেন্টর্সের সহায়তা নিতে পারলে সম্পূর্ণ প্রসেসটি আরও দ্রুততর হবে। তবে মনে রাখবেন স্পিকিং এ ভালো করার জন্য প্রাকটিস হলো সবথেকে বড় মাধ্যম। আর কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন। ধন্যবাদ।